নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার চান্দিনায় ওসমান (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজের পরদিন বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা নাকি পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু তার কোনটিই নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৭টায় উপজেলার শুহিলপুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের একটি পুকুর থেকে নিহতের মরদেহ পায় স্বজনরা।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র ওসমান শুহিলপুর ইউনিয়নের শালিখা গ্রামের গাড়ি চালক সালাউদ্দিন সিকদারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নূরানী বিভাগের ছাত্র।
নিহতের দাদা মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার আছর নামাজের পর থেকে আমার নাতিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে আমার ছেলে (নিহতের পিতা) সালাউদ্দিন’কে ফোন করে বিষয়টি জানালে সে ঢাকা থেকে এসেও অনেক খোঁজাখুঁজি করে।
পরদিন সকাল ৭টায় মসজিদের ইমাম গোসল করতে গেলে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে খবর দিলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করি। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, গ্রামের ১১ বছরের একটি ছেলে পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু ঘটবে বিষয়টি বিশ্বাস যোগ্য নয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যেহেতু বিকাল থেকে তাকে পাওয়া যায়নি সেহেতু ওই সময়ে গোসল করারও সময় না। তবে কিভাবে তার মৃত্যু ঘটেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
শুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি মঙ্গলবার ছেলেটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। সকালে পাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। তবে প্রকৃত ঘটনা কি তা সঠিক বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন খাঁন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page